নতুন আফগান সরকারকে স্বাগত জানাল চীন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/08/544.jpg)
আফগানিস্তানের নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। এক বিবৃতিতে বেইজিং বলেছে, কাবুলে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যে অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটেছে তারা একে স্বাগত জানাচ্ছে।
একই সঙ্গে আফগানিস্তানে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের নিন্দা জানিয়ে চীন বলছে, তারা অপরিকল্পিত এবং তাড়াহুড়ায় সব করেছে।
আজ বুধবার চীনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের নতুন সরকার দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করেন তারা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এবং বিভিন্ন পদে নেতাদের নিয়োগের বিষয়টিকে চীন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, এর মাধ্যমে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটিতে যে অরাজকতা চলছিল তার সমাপ্তি ঘটাতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও দেশ পুনর্গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/09/08/capture2.jpg 397w)
আফগানিস্তানে তালেবানের নতুন সরকার নিয়ে যখন অনেক দেশই ধীরে চলার নীতি অনুসরণ করছে তখন চীন সবার আগেই এটা জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা তালেবান সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
কাবুল দখলের তিন সপ্তাহ পর গতকাল মঙ্গলবার আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তালেবানের কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতাদের।
এদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরোধীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন এই নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেয়।
তালেবানের নতুন সরকারে কোনো নারীকে রাখা হয়নি বলে এরই মধ্যে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমালোচনা করেছে। মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করা হয়েছে। আলোচিত নেতা আব্দুল গানি বারাদার হচ্ছেন তার উপ-প্রধানমন্ত্রী।
ঘোষণা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৩৩টি পদেই রয়েছেন তালেবান ও তার সহযোগী গোষ্ঠীর সদস্যরা, যাদের অনেকের নাম রয়েছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায়, রয়েছেন ওয়াশিংটনের নজরে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামিও।