নিজের রেকর্ড ভেঙে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার জয়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে মমতার দল রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মমতা নিজে বিধায়ক নির্বাচিত হননি। দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর গত ৫ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তৃণমূলনেত্রী। তবে, শপথের মেয়াদ ৪ নভেম্বর শেষ হচ্ছিল। এর আগেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিজের পুরোনো কেন্দ্র ভবানীপুরে প্রার্থী হন মমতা। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি’র প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম-এর প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হয়। আর, ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে আজ ৩ অক্টোবর। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মমতা।
নন্দীগ্রামে হেরে দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় বসে বিপুল ব্যবধানে বিধানসভায় ঢোকার টিকেট নিশ্চিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একুশ রাউন্ড গণনা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পান ৮৪ হাজার ৭০৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পান ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পান মাত্র চার হাজার ২০১ ভোট। ২০১১ সালের চেয়েও এবার বড় ব্যবধানে জিতলেন মমতা।
এর আগে ২০১১ ও ২০১৬ সালে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনী জয় হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর, ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারের পর পুনরায় ভবানীপুরে উপনির্বাচনের মাধ্যমে বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এর সঙ্গে নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিশ্চিত করলেন।
এর আগে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হারলেও দলের কাণ্ডারি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে তৃণমল জেতে ২১৩টি আসন। এরপর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করে মমতাকে লড়ার সুযোগ করে দেন।
উপনির্বাচনের জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড ও বৃষ্টি সামলে যেভাবে ভোট দিয়েছে মানুষ, তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’