বার্ড ফ্লুর কারণে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক মুরগীর মৃত্যু, ক্রেতারা দিশেহারা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/10/19/bird.jpg)
এভিয়ান ফ্লু বা বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক মুরগী ও টার্কি মারা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, অতীতে খামারিদের ভাইরাসের যে ধরণ মোকাবিলা করতে হয়েছে এবারের ধরণ তার থেকে ভিন্ন।
এ বছর বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চার কোটি ৭০ লাখের বেশি পাখি মারা গেছে। ফলে রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে হয়েছে, ডিম ও টার্কির উৎপাদন কমে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির মৌসুম শুরুর আগে এসবের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গেছে।
পণ্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা ক্রেতাদের উপর এর প্রভাব আরও দুর্ভোগ বয়ে এনেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ পাখির মৃত্যু হয়। যা দেশটিতে পশু-স্বাস্থ্য খাতে সবথেকে খারাপ আঘাত ছিল।
এবার খামারিদের ভাইরাসের এইচ৫এন১ ধরণের যে উপধরণের মোকাবিলা করতে হচ্ছে সেটি গরমের মৌসুমেও টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পশু বিষয়ক কর্মকর্তা রোজমেরি সিফোর্ড। যেখানে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণের ধার কমে যায়।
এক সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভাইরাসের ওই উপধরণটি ইউরোপেও ছড়িয়েছে।
‘ইউরোপ এবার এভিয়ান ফ্লুর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করছে। এরই মধ্যে সেখানে প্রায় পাঁচ কোটি পোলট্রি মারা গেছে।’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2022/10/19/bird-capture.jpg)
কর্মকর্তারা অতীতের তুলনায় এবার বুনো হাঁসের মত বন্য পাখিদের মধ্যে ভাইরাসের ওই উপধরণটি বেশি পেয়েছেন এবং পাখির দেহে এটি ধারণার চেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকছে।
যা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং খুব সম্ভবত ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত এটি স্থায়ী হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পশু কর্মকর্তা সিফোর্ড।