বিশ্বের অধিকাংশ এয়ারলাইনসের দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা

বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের কারণে আগামী মে মাসের শেষ নাগাদ বিশ্বের অধিকাংশ এয়ারলাইনস সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক বিমান চলাচল পরামর্শক সংস্থা সিএপিএ বা কাপা। বেসামরিক বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে বিশ্বের এ উপদেষ্টা সংস্থাটির মতে, আসন্ন এ বিপর্যয় এড়াতে হলে বিশ্বের দেশগুলোর সরকার ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ শিল্পকে সমন্বয় সাধন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সিএপিএ গতকাল সোমবার (১৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
কাপার বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অনেকগুলো দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এয়ারলাইনস সংস্থাগুলোর কোমর ভেঙে দিয়েছে। গতকাল সোমবার কাপা জানায়, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে একাধিক দেশের সরকার ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সম্ভবত অনেক এয়ারলাইনস সংস্থা এরই মধ্যে কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছে গেছে অথবা ঋণ নেওয়ার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’
করোনা সংক্রমণ বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ায় বেশিরভাগ এয়ারলাইনস সংস্থাই তাদের পরিষেবায় ব্যাপক সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা এয়ারলাইনস গত রোববার জানিয়েছে, তারা ৪০ শতাংশ ফ্লাইট এবং ৩০০টি উড়োজাহাজ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দাদের জন্য সব পর্যটন ভিসা স্থগিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতও ১১ মার্চ ও তার পূর্বে দেওয়া সব পর্যটন ভিসা ও ই-ভিসা স্থগিত করেছে।
গতকাল সোমবার কাপা তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘চলতি বছরের মে মাসের শেষ নাগাদ বিশ্বের বেশিরভাগ এয়ারলাইনস সংস্থা দেউলিয়া হয়ে পড়বে। এই বিপর্যয় এড়াতে হলে সরকার ও শিল্প ক্ষেত্রের সমন্বয় সাধন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’ কাপা জানিয়েছে, অনেক ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ায় এয়ারলাইনস সংস্থাগুলোর অর্থ সঞ্চয় দ্রুত কমছে। এর পাশাপাশি সংস্থাগুলো এখন যে ফ্লাইট চালাচ্ছে, সেগুলোতে যাত্রী সংখ্যা মোট আসনের ৫০ শতাংশও নয়।
কাপার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যত অগ্রিম বুকিং হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে টিকেট বাতিল এবং যখনই কোনো দেশের সরকার নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা উড়োজাহাজে চলাচল নিরুৎসাহিত করছে। যে হারে চাহিদা কমছে, এমনটা কখনো হয়নি। কোনো স্বাভাবিকত্ব এখনো দেখা যাচ্ছে না।’