ভারতে হাসপাতাল থেকে পলাতক করোনা সন্দেহে ভর্তি ১১ জন

ভারতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারত সরকারের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১০ জন। আর গতকাল পর্যন্ত ভারতে নতুন ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী নথিভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫টি ঘটনা মহারাষ্ট্র রাজ্যের। আর মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ জন। এ অবস্থার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের একটি হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন করোনা সন্দেহে ভর্তি ১১ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, পলাতক ওই ১১ জন দুবাই থেকে ভারতে ফিরেছিলেন কয়েক দিন আগেই। জ্বর-সর্দিসহ করোনাজনিত রোগের একাধিক উপসর্গ ধরা পড়ায় ওই ব্যক্তিদের হাসপাতালে আইসোলেশন (আলাদা করে রাখা) ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু করোনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল হাতে আসার আগেই ওই ১১ জন হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, ভারতের নভি মুম্বাই অঞ্চলের হাসপাতাল থেকে পালানো ১১ ব্যক্তি কিছুদিন আগে দুবাই গিয়েছিলেন ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে। সেখান থেকে ফিরেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে পলাতক ব্যক্তিদের খুঁজতে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে মিউনিসিপাল করপোরেশন ও মুম্বাই পুলিশ। ওই ১১ ব্যক্তির মধ্যে একজনও যদি করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁর থেকে করোনাজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল।
হাসপাতাল থেকে পালানোর ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে গত ১৪ মার্চ মহারাষ্ট্রের নাগপুরের একটি হাসপাতাল থেকেও পালিয়েছিলেন করোনা সন্দেহে ভর্তি হওয়া পাঁচ ব্যক্তি। তাঁদের খুঁজতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি হয় গোটা রাজ্যে। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি এক মার্কিন দম্পতিও হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিলেন। পরে কোচি বিমানবন্দরে তাঁদের আটক করা হয়।
করোনাভাইরাস ভারতের যে রাজ্যগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রকোপ ফেলেছে, তার মধ্যে শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র। করোনার জেরে বন্ধ হয়েছে বলিউডের সব শুটিং। এ ছাড়া ভিড় এড়াতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।
চীনে করোনাভাইরাসের মহামারি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু করলেও বিশ্বেজুড়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬৯ জন। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ৯১০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসা চলছে ৮৩ হাজার ৫৮৪ জনের। আর এই ভাইরাসের থাবায় মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৪৭৫ জনের। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।