মিয়ানমারের গোপনীয়তা আইনে সু চির বিরুদ্ধে আরেক মামলা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/04/02/download.jpg)
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
ঔপনিবেশিক আমলের এই আইন ভাঙার মামলাটিই সামরিক শাসনবিরোধী গণতন্ত্রপন্থি এ নেত্রীর বিরুদ্ধে আনা সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে সু চির ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সু চির প্রধান আইনজীবী খিন মং জাও টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, এক সপ্তাহ আগে ইয়াঙ্গনের একটি আদালতে সু চি, তাঁর পদচ্যুত মন্ত্রিসভার তিন সদস্য ও অস্ট্রেলিয়ান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শন টার্নেলের বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইনের অধীনে মামলা হয়েছে।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/04/02/capture.jpg 687w)
দুদিন আগে তিনি নতুন এই মামলার বিষয়টি জেনেছেন বলে জাও জানান।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি কলের উত্তর দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সামরিক জান্তা এর আগে সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অপরাধের মামলা করেছিল। তার মধ্যে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে ছয়টি ওয়াকিটকি আনা ও বেআইনী যোগাযোগের জন্য সেগুলো নিজের কাছে রাখা এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জারি করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে জান্তাবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের অবসান ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ সামরিক বাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে রয়েছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি সাধারণ জনগণ।