হাসপাতাল থেকে পলাতক করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি ৫ রোগী

ভারতে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক আর উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে গত মঙ্গলবার কর্ণাটকে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে করোনায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভারতে করোনাভাইরাসের কারণে দুজনের মৃত্যু হলো। করোনা নিয়ে আশঙ্কার মধ্যেই ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরের ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নাগপুরের মায়ো হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছিল পাঁচজনকে। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
রোগী পালানোর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনে। আজ শনিবার সকালে সরকারিভাবে জানানো হয়, পলাতক পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ফিরে এসেছেন। ওই পাঁচজনকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। আরো জানা গেছে, পলাতকদের মধ্যে একজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস নেগেটিভ হয়। বাকিদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনো মেডিকেল রিপোর্ট আসেনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা ও ইন্ডিয়া টুডে এ খবর জানিয়েছে।
নাগপুরের পুলিশ কর্মকর্তা এস সূর্যবংশী বলেন, ‘পলাতকদের মধ্যে একজনের রিপোর্ট নেগেটিভ। অন্য চারজনের রিপোর্ট আসবে। আমরা তাঁদের সন্ধান পেয়েছি। প্রশাসন তাঁদের হাসপাতালে ফিরিয়ে আনবে।’
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ওই পাঁচজন স্ন্যাকস (নাশতা) কেনার কথা বলে ওয়ার্ডের বাইরে যান। এরপর তাঁরা আর ফিরে আসেননি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মুম্বাই, নভি মুম্বাই, থানে, নাগপুরসহ মহারাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে সব থিয়েটার, ব্যায়ামাগার ও সুইমিংপুল আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র সরকার।
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে আরো দুজনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ জনে। আজ শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রে দুজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।