মোদির মন্তব্যের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে প্রস্তাব পাস
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/12/photo-1434083478.jpg)
বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের সময় ভারতের ভূমিকা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের উচ্চ পার্লামেন্ট সিনেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাস হয় এবং এতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় নেতাদের উসকানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।
প্রস্তাবে ভারতের ‘আধিপত্যশীল মনোভাবের’ প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং পাকিস্তান কখনোই তার ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রবেশ করতে দেবে না বলে উল্লেখ করা হয়। সিনেটে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সিনেটর রাজা জাফর-উল হক।
জিনিউজ জানায়, প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় পাকিস্তানের রাজনীতিকরা ভারতের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টার পাল্টা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
আগের দিন ভারতের নেতারা জানান, জঙ্গিদের নির্মূলে মিয়ানমারের ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযান ছিল প্রতিবেশীদের জন্য বার্তা, যা পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের প্রতি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৯৭১ সালের ঘটনায় ভারতের ‘হস্তক্ষেপ’ স্বীকার করে দেওয়া নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের নিন্দা জানায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে ভারতের ‘উন্মুক্ত স্বীকারোক্তি’র ব্যাপারে লক্ষ করতে জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপদেষ্টা সারতার্জ আজিজ পার্লামেন্টকে বলেন, ‘১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা প্রকাশ করতে সব পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে পাকিস্তানকে অচল করার হুমকিও প্রকাশ করবে।’
গত ৬ ও ৭ জুন ঢাকা সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়াদিল্লির ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পাকিস্তান অনবরত ভারতকে বিরক্ত করে, উপদ্রব সৃষ্টি করে, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়।’
গত ৯ জুন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের সীমান্তবর্তী মিয়ানমার ভূখণ্ডে অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানে ৫০ বিদ্রোহীকে হত্যা করে সেনারা। গত ৪ জুন মণিপুরে জঙ্গিদের হামলায় ১৮ সেনাসদস্য নিহত হন।