যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুর মুখ, কাঁদাবে আপনাকেও
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলমুক্ত হয়েছে ইরাকের মসুল শহর। কিন্তু শহরটি বাসিন্দাদের দুর্দশা এখনো শেষ হয়নি। আইএসের অপকর্মের ভারে এখনো ধুঁকছে সেখানের লোকজন। বেশি সংকটে পড়েছে শিশুরা। ছোট্ট শিশু আমিনা তারই এক জ্বলন্ত নিদর্শন।
মসুল জঙ্গিমুক্ত হওয়ার পর সেখানে উদ্ধার অভিযানে নামে ইরাকের সেনাসদস্যরা। উদ্ধারের সময় একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়া যায় আমিনাকে। সে জানায়, আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন তার মা-বাবা। এখন তার আর কেউ নেই।
এদিকে আমিনার সঙ্গে উদ্ধার করা হয় আরো এক শিশুকে। ইট-পাথরের ওপর হামাগুঁড়ি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল সে। ক্ষুধায় ক্লান্ত শিশুটি বেশ কয়েকদিন ধরে মাংসের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে ছিল।
ইরাকি সেনারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সহায়তায় ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে মসুল পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করেছিল। তাদের সঙ্গে এ যুদ্ধে যোগ দেয় কুর্দিশ পেশমেরগা যোদ্ধা, সুন্নি ও শিয়াদের কয়েকটি গোষ্ঠী।
নয় মাসব্যাপী যুদ্ধে শহরটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া শহর ছাড়ে নয় লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
২০১৪ সালে মসুল দখল করে গ্র্যান্ড আল-নুরি মসজিদ থেকে খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিল আইএস। এর পর থেকে ইরাকে মসুলকে আইএসের কার্যত রাজধানী বিবেচনা করা হতো।