Skip to main content
NTV Online

বিশ্ব

বিশ্ব
  • অ ফ A
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • যুক্তরাজ্য
  • কানাডা
  • ভারত
  • পাকিস্তান
  • আরব দুনিয়া
  • এশিয়া
  • ইউরোপ
  • লাতিন আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • অস্ট্রেলিয়া
  • অন্যান্য
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • বিশ্ব
ছবি

লাল টুকটুকে মিম

একান্তে তাহসান-রোজা

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ৫ খাবার

মেট গালা ফ্যাশনে দ্যুতি ছড়ালেন কিয়ারা

গ্রীষ্মের ফুলে ভিন্নরূপে রাজধানীর প্রকৃতি

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশ সপ্তাহ শুরু

স্টাইলিশ মিম

পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ড. ইউনূস

ভিডিও
এই সময় : পর্ব ৩৮১৬
এই সময় : পর্ব ৩৮১৬
জোনাকির আলো : পর্ব ১১৯
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৭
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৭
ফাউল জামাই : পর্ব ৮৯
নাটক : মিরাকল অফ লাভ
নাটক : মিরাকল অফ লাভ
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৮
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৮
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩১
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩১
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫১৭
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫১৭
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, পর্ব : ১০
টেলিফিল্ম : রঙিন চশমা
টেলিফিল্ম : রঙিন চশমা
চন্দন সাহা রায়
১০:০২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১০:০৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
চন্দন সাহা রায়
১০:০২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১০:০৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আরও খবর
রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে প্রবেশাধিকার বন্ধ : মহাপরিচালক
দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে পারে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পতেঙ্গায় নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গা আটক
চার রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
আরও ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে জাতিসংঘের অনুরোধ

রোহিঙ্গা ইস্যুর পেছনে তেলসম্পদ ও ভূমি দখলের রাজনীতি

চন্দন সাহা রায়
১০:০২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১০:০৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
চন্দন সাহা রায়
১০:০২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১০:০৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ, উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের হামলা-নির্যাতন-ধর্ষণ প্রতিদিনই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি কাড়ছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, তারা ২৫ আগস্ট পুলিশ ও সেনাক্যাম্পে হামলার জন্য দায়ী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই ‘নির্মূল অভিযান’ চালাচ্ছে।

কিন্তু এর ফলে গোটা সীমান্ত এলাকাতেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং তার শিকার হয়ে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। নিজ ভূমি থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা অভিযোগ করছে, সেনাবাহিনী তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করছে এবং গোটা গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

দেশহীন এই জনগোষ্ঠীকে ‘জাতিগত নিধনের’ জন্য হামলা-নির্যাতনের সব ধরনের আলামত আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের নেতৃবৃন্দ। যদিও মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন-বঞ্চনার ইতিহাস খুব পুরোনো। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত দেশটির অধিকাংশ মানুষই মনে করে, এরা বিদেশি, বাংলাদেশ থেকে এসেছে। এবং তাদের ‘রোহিঙ্গা’ না বলে ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এর পেছনে ধর্মীয় ও নৃ-তাত্ত্বিক পার্থক্যের আলামত দেখলেও সময় যত যাচ্ছে ততই রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নিধনের’ পেছনে অন্য কারণও তুলে আনছেন গবেষক, অনুসন্ধানী গণমাধ্যমকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টরা।

সম্প্রতি জোসেপ ফোরিনো, টমাস জনসন ও জেসন ভন মেডিং নামে তিনজন পণ্ডিত ‘দি অয়েল ইকোনমি অ্যান্ড ল্যান্ড-গ্রেভ পলিটিকস বিহাইন্ড মিয়ানমারস রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্রাইসিস’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ কোয়ার্টজ সাময়িকীতে প্রকাশ করেন। জোসেপ ফোরিনো ও টমাস জনসন অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষণারত। আর জেসন ভন মেডিং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তাদের নিবন্ধের ভাষান্তর করেছেন চন্দন সাহা রায়।

মিয়ানমারের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচার জন্য মানুষ স্রোতের মতো নিজ আবাসভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে- তারা পায়ে হেঁটে, ছোট ছোট নৌকায় করে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এটা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামে একটি সংগঠনের তৎপরতার মুখে এই ঘটনা ঘটছে।    

মিয়ানমারের এই নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার জন্য দেশটির ধর্মীয় ও নৃ-তাত্ত্বিক পার্থক্যকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই প্রচার ব্যাপক মাত্রায় হচ্ছে। ফলে এখন এটা বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে যে, এই ‘খেলার’ পেছনে আরো অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। এখানে বিশেষ করে উল্লেখ করে রাখা দরকার, মিয়ানমারে ১৩৫টি বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জাতিসত্তার বসবাস রয়েছে। (যদিও ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গারা দেশটির জাতিসত্তার তালিকা থেকে নিজেদের হারিয়ে ফেলে।)

সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেনাবাহিনী ও দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সু চিই মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন। এই হামলা-নির্যাতনের পর থেকে যদিও সু চির শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে প্রশ্ন উঠেছে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর যে পরিকল্পিত নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে, সু চি সেই অভিযোগকে প্রতিনিয়ত অস্বীকার করে যাচ্ছেন। যদিও গণমাধ্যম এখনো আশা করে যে, এই দুর্দশা নিরসনে শেষ পর্যন্ত সু চি বোধ হয় নিজের অবস্থানের পরিবর্তন করবেন।

কিন্তু দুর্দশার সব চিত্র এখনো পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পায়নি। রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন, তাদেরকে একেবারে প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়া এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনা কেন ঘটছে- এক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং নৃ-তাত্ত্বিক পার্থক্যের বাইরে অন্য কোনো কারণ খুঁজে বের করাই যেন এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।   

এখানে মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থ ও অর্থনৈতিক লাভালাভের বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। আর এটা শুধু রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেই না, মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কাচিন, সান, কারেন, চীন, মন সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

‘ভূমিদস্যুতা’

ভূমিদস্যুতা এবং ভূমি অধিগ্রহণ মিয়ানমারে ব্যাপকভাবেই আছে। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে সামরিক জান্তা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ ছাড়াই সারা দেশ থেকে ধর্মীয় ও নৃ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে ছোট ছোট ভূমিমালিকদের জমি অধিগ্রহণ করে। ‘উন্নয়ন’ প্রকল্প, সেনানিবাস সম্প্রসারণ, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্মুক্তকরণ, বৃহৎ কৃষি খামার, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পর্যটনের নামে এসব জমি অধিগ্রহণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সামরিক জান্তা তখন কাচিন রাজ্যে সোনার খনি খননের জন্য গ্রামবাসীর কাছ থেকে ৫০০ একরের বেশি জমি অধিগ্রহণ করে নেয়।

এসব ‘উন্নয়ন’ প্রকল্পের কারণে তখন হাজার হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। অনেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ, ভারত ও থাইল্যান্ডে চলে যায়। আবার কেউ কেউ সমুদ্রপথে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার পথে পাড়ি দেয়।

২০১১ সালে মিয়ানমারের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংস্কার আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তখন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ‘এশিয়া ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার’ বা ‘এশিয়ার চূড়ান্ত গন্তব্য’ নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর কিছু দিন পরেই ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপকভাবে হামলা চালানো হয়, কিছুটা কম হলেও কারেন সম্প্রদায়ের লোকজনও এই হামলার শিকার হয়। উপরন্তু এই সময়ে মিয়ানমার সরকার কৃষি খামারের জমি বিতরণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কতগুলো আইনও প্রতিষ্ঠা করে ফেলে।

এসব উদ্যোগ তখন তীব্রভাবে রাখাইন রাজ্যে সমালোচিত হয়। অভিযোগ ওঠে, ভূমি দখলের মধ্য দিয়ে বড় বড় করপোরেশনগুলোকে বৃহৎ আকারে লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। বলা যেতে পারে, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকার বহুজাতিক কৃষিভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে আসার সুযোগ করে দেয়। এর মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানি পসকো দাইয়ু কোম্পানির মতো যারা তখন বাজারে আসার জন্য উন্মুখ হয়েছিল, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে সরকার।

‘একটি আঞ্চলিক পুরস্কার’

ভৌগোলিক দিক থেকে মিয়ানমারের অবস্থান এমন একটি জায়গায়, যার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর প্রতিবেশী চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে। বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক থেকে চীনা কোম্পানি দেশটির উত্তরের শান রাজ্যে কাঠশিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও নৌপরিবহন খাতে বিনিয়োগ করে। এ নিয়ে তখন সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কারেন ও শান রাজ্যে এই সংঘর্ষে কাচিন ইনডিপেনডেন্ট অরগানাইজেশন (কেআইও) এবং তাদের অন্য সহযোগীরাও অংশ নেয়।

রাখাইন রাজ্যে চীন ও ভারতের স্বার্থ মূলত দেশ দুটির সীমান্ত সম্পর্কেরই একটা অংশ। এসব স্বার্থ মূলত এই অঞ্চলের অবকাঠামো খাতের বিনিয়োগ ও গ্যাসের পাইপলাইন নির্মাণকে কেন্দ্র করে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান, ট্রানজিট ফির নিশ্চয়তার দাবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের তেল ও গ্যাস খাত থেকে যে রাজস্ব আয় আসবে, তা গোটা মিয়ানমারের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।

এ রকম অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্পের একটি হচ্ছে চীনের রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস উত্তোলন ও বিতরণ প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানির বহুজাতিক পাইপলাইন নির্মাণ। এটি রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতুর সঙ্গে চীনের কুনমিংকে সংযুক্ত করবে। এর কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। এটাও সবাই জানে যে, মিয়ানমারের সিয় গ্যাসফিল্ড থেকে তেল ও গ্যাস গানজুয়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চীন ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমান্তরাল আরেকটি পাইপলাইন স্থাপনের কথা ভাবা হচ্ছে, যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের তেল মিয়ানমারের কিওফিও বন্দর থেকে চীন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে।

যাইহোক, রাখাইন রাজ্যের স্বাধীন অ্যাডভাইজরি কমিশন আহ্বান জানিয়েছে এই প্রকল্পের সামগ্রিক প্রভাব সম্পর্কে একটি মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।

প্রকৃতপক্ষে কমিশন উপলব্ধি করছে, এই পাইপলাইন স্থানীয় মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। স্থানীয়দের এমন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে যে, এর ফলে তাদের জমি অধিগ্রহণ, ক্ষয়ক্ষতির জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়া, পরিবেশ বিপর্যয় এবং বিদেশি শ্রমিকের আগমনে তাদের কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়বে।

এরই মধ্যে ভারত কালাদান মাল্টি মডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় সিতুতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে বিনিয়োগ করেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্বের মিজোরাম রাজ্যকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করা। রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় এলাকা স্পষ্টতই ভারত ও চীনের কাছে কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বভাবতই মিয়ানমারের স্বার্থ হচ্ছে এই জায়গাটি খালি করে পরবর্তী উন্নয়নকাজের জন্য উপযুক্ত করে তৈরি করা এবং এরই মধ্যে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে তা অব্যাহত রাখা।

এ সবকিছুই ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে হচ্ছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জটিলতাও এই কৌশলের বাইরে নয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কিন্তু দিনশেষে এ ধরনের ক্ষমতার যুদ্ধে মানুষ আর মানবিকতাকেই উচ্চ মূল্য দিতে হয়।

‘সংখ্যালঘুকে আরো প্রান্তিকতায় ঠেলে দেওয়ার নীতি’

মিয়ানমারে ভূমি অধিগ্রহণের ফলে যারা ভুক্তভোগী হলো, তাদেরকে আরো চরম প্রান্তিক অবস্থানে দিকে ঠেলে দেওয়া হলো এবং তাদের অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। নির্যাতনের মুখে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়ার যে নজির, রাখাইনের রোহিঙ্গারা হচ্ছে তার সর্বোচ্চ উদাহরণ।

ধারাবাহিক নির্যাতনের মুখে যখন কোনো একটি গোষ্ঠী এভাবে ক্রমাগত প্রান্তিক অবস্থানে চলে যায়, তখন নিজের ভঙ্গুরতা রোধ করার বা অধিকার রক্ষা করার ক্ষমতাও তাদের হ্রাস পায়। এর সঙ্গে যোগ হয় চরম দারিদ্র্য। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে, নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে তাদের আসলে স্থাবর সম্পদ রক্ষার ক্ষমতাও কেড়ে নেওয়া হয়।

নির্যাতনের মুখে সত্তরের দশক থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়। যেসব দেশে গিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন সেখানেও তাঁরা করুণ অবস্থার মধ্যেই রয়েছেন। কোনো দেশই তাদের স্বাগত জানায়নি। বরং তাদেরও চেষ্টা থাকে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পার করে দেওয়ার।

রোহিঙ্গাদের এই ট্র্যাজেডি আসলে নির্যাতনের মুখে পড়ে মিয়ানমার ও তার আশপাশের দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিশাল বড় প্রেক্ষাপটের একটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।

রোহিঙ্গা

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. হিরানি-আমির জুটি এবার বায়োপিকে
  2. আমিরের নতুন সিনেমা মুক্তির ৮ সপ্তাহ পর দেখা যাবে ইউটিউবে
  3. সমালোচনার তীরে বিদ্ধ, তবু ভিউতে চূড়ায় ‘জুয়েল থিফ’
  4. সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে কেন ভয় পায় তারকারা?
  5. মঞ্চে উঠেই অজ্ঞান, হাসপাতালে ভর্তি বিশাল
  6. ভারতের হামলায় উচ্ছ্বসিত বলিউড, পাকিস্তানের তারকারা বলছেন ‘কাপুরুষতা’
সর্বাধিক পঠিত

হিরানি-আমির জুটি এবার বায়োপিকে

আমিরের নতুন সিনেমা মুক্তির ৮ সপ্তাহ পর দেখা যাবে ইউটিউবে

সমালোচনার তীরে বিদ্ধ, তবু ভিউতে চূড়ায় ‘জুয়েল থিফ’

সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে কেন ভয় পায় তারকারা?

মঞ্চে উঠেই অজ্ঞান, হাসপাতালে ভর্তি বিশাল

ভিডিও
এই সময় : পর্ব ৩৮১৬
এই সময় : পর্ব ৩৮১৬
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
টেলিফিল্ম : রঙিন চশমা
টেলিফিল্ম : রঙিন চশমা
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, পর্ব : ১০
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৩
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৪৯
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৪৯
নাটক : মিরাকল অফ লাভ
নাটক : মিরাকল অফ লাভ
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩১
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩১

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x