আসামে বন্যায় ১৪ জনের প্রাণহানি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/23/photo-1440337183.jpg)
আসামে প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যের ১৯টি জেলায় সাত লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ভুটান, অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয় অঞ্চল নতুন করে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। রাজ্যের ধুবুরি জেলার সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, জেলার সাতজনকে বহনকারী একটি ভ্যান বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেলে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটে।
এ ছাড়া রাজ্যটির এক লাখ ২২ হাজার লোককে ১৭৭টি ত্রাণশিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোকরাঝাড় জেলার ১৩৩টি ক্যাম্পে ৭৭ হাজার লোককে রাখা হয়েছে।
বন্যায় আসামের নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও সেচ অবকাঠামো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। সেতু ভেঙে গেছে এবং কোথাও কোথাও মহাসড়ক পানিতে ভেসে গেছে। ভেঙে পড়েছে টেলিযোগাযোগব্যবস্থা। বহু স্থানে নেই বিদ্যুত সংযোগও।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী, এনডিআরএফসহ অন্যান্য সংস্থা ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করেছে।
সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল আজ রোববার ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের জন্য অবিলম্বে এক হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করেছেন। তিনি ত্রাণশিবির না খোলা ও ত্রাণ বিলিতে গাফিলতির জন্য রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসকে দায়ী করেন। এদিকে রাজ্যের বন্যা মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে আর্জি জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তিনি বলেন, ‘এখন রাজনীতি করার সময় নয়। সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে ত্রাণে নামতে হবে।’