অ্যাডিলেডের ভবনে আগুন, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড শহরের কেন্দ্রস্থলে গ্র্যান্ড চ্যান্সেলর হোটেলসংলগ্ন একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে কুংফু প্রশিক্ষণের ভবনটির টিনের ছাদ ধসে পড়েছে। প্রায় ১০০ অগ্নিনির্বাবক কর্মী কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ আছেন। এ ছাড়া কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বড় এলাকাজুড়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দি এজ জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১২টার দিকে অ্যাডিলেড শহরের বাণিজ্যিক এলাকা বলে পরিচিত সিবিডি এলাকার হিন্ডল ও কারি স্ট্রিটের মধ্যবর্তী একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়। ওই ভবনটি একটি কুংফু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতো। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রায় কয়েক ঘণ্টা থমকে ছিল অ্যাডিলেড শহর। আর আগামীকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কয়েকটি সড়ক বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডের ভবন সংলগ্ন গ্র্যান্ড চ্যান্সেলর হোটেলেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ভবনের চারপাশ থেকে ঘন ধোঁয়া দেখা যায়। ৮০ জন অগ্নিনির্বাবক কর্মী ও ২০ জন সহায়তাকারীর তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। পার্শ্ববর্তী হোটেলের জানালা ও বিশেষ মই দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ভবনে পানি বর্ষণ করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে দি এজ জানিয়েছে, কুংফু প্রশিক্ষণ ভবনের ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো ময়লার পাত্র থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনো আগুনের সূত্রপাত নিয়ে তদন্ত চলছে।
অ্যাডিলেড শহরের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের সহকারী প্রধান রয় থম্পসন এবিসি অস্ট্রেলিয়াকে বলেন, কুংফু প্রশিক্ষণ ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও ভবনের পেছনের অংশ থেকে হিন্ডলে স্ট্রিটের দিকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, কুংফু প্রশিক্ষণ ভবনের টিনের ছাদ ধসে পড়েছে। দেয়ালধসেরও শঙ্কা ছিল। আর কাছাকাছি ভবনে থাকা বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রয় থম্পসন জানান, স্থানীয় তিনজন বাসিন্দা ও এক পুলিশ ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কাছাকাছি অবস্থিত এক ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, ‘হঠাৎ করেই এলাকাজুড়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরই অগ্নিনির্বাপক বিভাগ ও পুলিশ আমাদের কর্মস্থল ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলেন।’
অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলসংলগ্ন কয়েকটি রাস্তার গণপরিবহন অন্য সড়ক দিয়ে যায়। আজ বিকেলের দিকে কারি স্ট্রিট খুলে দেওয়া হয়। তবে গাড়ি চলাচলে ২৫ কিলোমিটার গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর আগামীকাল পর্যন্ত কয়েকটি সড়কে যান ও মানুষ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।