টাকাভর্তি এটিএম মেশিন নিয়েই চম্পট!

টাকাভর্তি আস্ত একটা এটিএম মেশিন নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। শুক্রবার গভীর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার শহরের কামেশ্বরী রোডে এ ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ওই এটিএম মেশিন বা দুর্বৃত্তদের কারো সন্ধান পায়নি পুলিশ।
ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির কর্মকর্তা প্রমোদ কুমার টোপ্পো জানান, শনিবার সকালে এই ঘটনার কথা জানতে পারেন তাঁরা। তিনি আরো বলেন, দুই বছর আগে এটিএম বুথটি এখানে স্থাপন করা হয়। পাঁচ ফুট উচ্চতার এটিএম মেশিনটির ওজন ছিল প্রায় ১০০ কেজির মতো। কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ির কাছে স্থানীয় কামেশ্বরী রোডে একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ছিল এটিএম বুথটি। ওই ভবনের ওপরেই রয়েছে ব্যাংকটির একটি শাখা।
শনিবার সকালে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এটিএম বুথ পরিষ্কার করতে এসে দেখেন সেখানে এটিএম মেশিনটাই নেই।
পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা এটিএমে টাকা রাখার ভল্ট খুলতে না পেরে আস্ত এটিএম মেশিনটা নিয়েই পালিয়ে গেছে। এমনকি বুথে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও খুলে নিয়ে গেছে তারা।
এটিএম মেশিনটি নাট-বল্টু দিয়ে বুথের মেঝের সঙ্গে আটকানো ছিল। এর ভেতরে ছিল দুই লাখ ৭৭ হাজার টাকা। তবে ওই বুথে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী ছিল না। এ ছাড়া বুথটিও শহরের বেশ নির্জন এলাকায় অবস্থিত। এসব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা কৌশলে এটিএম মেশিন খুলে নিয়ে চলে যায়।
এদিকে এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, আস্ত একটি এটিএম মেশিন নিয়ে কীভাবে নিয়ে পালাল দুর্বৃত্তরা। এত বড় একটা মেশিন তুলে নিয়ে যাওয়া দুই-একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
তাই কী ধরনের যান ব্যবহার করে এত বড় এটিএম মেশিন নিয়ে যাওয়া হলো, নেওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ এড়িয়ে গেল কেন-এ রকম নানা প্রশ্নের উত্তর মেলাতে ব্যস্ত পুলিশ।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার যাদব জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটিএম মেশিন নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ওই বুথের শাটার নামিয়ে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ফলে শনিবার সকাল থেকে বুথ বন্ধ ভেবে ফিরে যেতে থাকেন গ্রাহকরা। তাই বিষয়টি নজরে আসে অনেক দেরিতে। এদিকে সিসি ক্যামেরাও চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় ঘটনার জন্য দায়ীদের খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে পুলিশের। তবে দুর্বৃত্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।