আইএসের বিরুদ্ধে মেক্সিকোর মাদকসম্রাটের যুদ্ধ ঘোষণা!

মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়তে একজোট হয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্বের কয়েকটি দেশ। আর ওই সংগঠনটির বিরুদ্ধে রাশিয়া লড়ছে সিরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। এবার আইএসবিরোধীদের কাতারে এলো বিশ্বের শীর্ষ মাদকসম্রাট জোয়াকিন গুজম্যান ওরফে ‘এল চ্যাপো’। মেক্সিকোর এই পলাতক মাদকসম্রাট আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিররে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসের শীর্ষ নেতা আবু বকর আল আল বাগদাদির উদ্দেশে জোয়াকিনের পাঠানো একটি গোপন ইমেইল অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। ওই ইমেইলে আইএসকে শাসিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা করেছেন এই শীর্ষ মাদকসম্রাট।
অনেকের মতে প্রশ্ন জাগতে পারে, তবে কী মাদকসম্রাট সুপথে এলেন? বিশ্বমানবতার খাতিতে আইএসের বিরুদ্ধে লড়তে যাচ্ছেন? আসলে আইএসের বিরুদ্ধে জোয়াকিনের যুদ্ধ ঘোষণার কারণ ব্যবসায়িক স্বার্থ। সম্প্রতি মাদকের একটি বড় চালান আইএসের হাতে ধ্বংস হওয়ায় তাদের প্রতি খেপেছেন জোয়াকিন।
‘কার্টেলব্লগে’র বরাত দিয়ে মিরর জানিয়েছে, বাগদাদিকে লেখা চিঠিতে জোয়াকিন লিখেছেন, তাঁর কর্মকাণ্ডের ওপর আইএস হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখলে তাঁদের ‘ধ্বংস’ করা হবে। থাগসলাইফভিডিওস নামে ওপর একটি ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাগদাদিকে পাঠানো ইমেইলে প্রকাশ অযোগ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন জোয়াকিন। তবে, অনেকের দাবি ইমেইলের বিষয়টি বানোয়াট।
চলতি বছর জুলাইয়ে মেক্সিকো সিটির পার্শ্ববর্তী একটি কঠোর নিরাপত্তার কারাগার থেকে পালিয়ে যান জোয়াকিন। এই পালানোর জন্য তাঁর লোকজন একটি খামারবাড়ি থেকে কারাগারের গোসলখানা পর্যন্ত প্রায় এক মাইল দীর্ঘ সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল। অভিনব এই পলায়ন বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে। আর লজ্জার মুখে পড়ে মেক্সিকো সরকার। অবশ্য, জোয়াকিনের জন্য কারাগার থেকে পলায়ন নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০০১ সালে কারাগার থেকে পালান তিনি। পরে গত বছর আবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
জোয়াকিন একসময় ছিলেন বিশ্বের এক হাজার ১৪০তম ধনী এবং বিশ্বের ৫৫তম প্রভাবশালী ব্যক্তি। ধারণা করা হয়, জুলাইয়ে পলায়নের জন্য প্রায় পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছেন তিনি।