সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ২২ হাজারের এইডস রোগী রয়েছে। দেশটির এইডস কর্মসূচির পরিচালক ড. সানা ফিলেমবানের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট। সানা ফিলেমবান জানান, দেশটিতে দিন দিন এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত রোগতত্ত্ব নিরুপণ বিভাগ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮১ সালে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ১৯৮৪ সালে সৌদিতে প্রথমবারের মতো এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। সৌদিতে এইডস আক্রান্তদের ৩ ভাগই শিশু। আর মায়ের দুধের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে দিন দিন শিশু রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

আন্তর্জাতিক এইডস দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সানা ফিলেমবান বলেন, দেশে বর্তমানে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১ হাজার ৭৬১ জন। এদের মধ্যে ছয় হাজার ৩৩৪ জন সৌদি নাগরিক। বাকি ১৫ হাজার ৪২৭ জন অন্য দেশের।

রোগতত্ত্ব নিরুপণ বিভাগের বরাতে জানা যায়, ২০১৪ সালে দেশটিতে নতুন করে আরো এক হাজার ২২২ জন এইডস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৬৪ জন সৌদি পুরুষ ও ৮০ জন নারী। বাকি ৭৭৮ জনই সৌদি আরবের বাইরের দেশের নারী-পুরুষ।

২০১৪ সালে যে ৮০ জন নারীর রক্তে এইডস ভাইরাস এইচআইভি পাওয়া গেছে এদের ৯৫ ভাগই স্বামীদের মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে এসব এইডস আক্রান্ত নারীদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বলেও জানায় রোগতত্ত্ব নিরুপণ বিভাগের কর্মকর্তারা।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অন্যতম প্রকল্প হচ্ছে এই এইডস কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠানটি গত শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে দেশে এইডসের ওপর সচেতনতা তৈরিতে নানা কর্মশালা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।