বছরের শুরুতেই সৌদিতে ৪৯ জনের শিরশ্ছেদ
এর আগেও দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের শিরশ্ছেদ করে বিভিন্নভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহেই ৪৯ জনের শিরশ্ছেদ করে অতীতের সব ‘রেকর্ড’ ভেঙে ফেলেছে দেশটি। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে এর আগে কখনোই বছরের শুরুতে এত মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়নি সুন্নি শাসকদের অধীনে থাকা সৌদি আরবে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় তায়েফ নগরীতে গত বুধবার সৌদ বিন মোহাম্মদ আল শালভি নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। ওই দিনই সৌদি বিচার বিভাগ শালভির মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। মোহাম্মদ বিন সাফর আল হারিসি নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শনিবার সৌদি আরব সন্ত্রাসের দায়ে শিয়া নেতা নিমর আল নিমরসহ ৪৭ জনের শিরশ্ছেদ করে। এদের মধ্যে আল-কায়েদার বেশ কয়েকজন জঙ্গিও ছিলেন। এরপর গত সোমবার তায়েফেই আরেক জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।
এদিকে রিয়াদের সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণার পর সৌদি আরবের আরো কয়েকটি মিত্র দেশ ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গুটিয়ে নেয়। সম্পর্কচ্ছেদের তালিকায় আছে বাহরাইন, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশের নাম। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় দুই দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক।
এর আগে ২০১৫ সালে সৌদি আরবে মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। আর এর আগের বছর দেশটিতে ৮৭ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।