তেল উৎপাদন কমাতে সম্মত সৌদি আরব ও রাশিয়া

সৌদি আরব ও রাশিয়াসহ জ্বলানি তেল উৎপাদেনের শীর্ষ দেশগুলো উৎপাদন হার কমানোর সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কাতারের দোহায় এক বৈঠকে তেল উৎপাদনের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে এক বৈঠকে এই ঐকমত্য দেখা যায়।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, দোহার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌদি তেলমন্ত্রী আলী আল-নাইমি, রাশিয়ার তেলমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাকি। এ ছাড়া ছিলেন ভেনেজুয়েলা ও কাতারের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে থাকা সব দেশের প্রতিনিধিরা তেল উৎপাদন জানুয়ারির পর্যায়ে আনার কথা জানান।
সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী আলী আল-নাইমি বলেন, তেল জানুয়ারির পর্যায়ে নিলেই বর্তমান সময়ের জন্য যথেষ্ট। তিনি আরো বলেন ‘দামের ক্ষেত্রে আমরা বিস্তর পার্থক্য রাখতে চাই না। আমরা তেলের স্থিতিশীল মূল্য চাই।
জানা গেছে, তেলের দাম বাড়াতেই উৎপাদন কমানোয় সম্মত হয়েছে সব দেশ। বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে তেলের বাজারে এরই মধ্যে পরিবর্তন দেখা গেছে। তেলের দাম কিছুটা হলেও বাড়ছে।
বিগত ১৮ মাস ধরেই তেলের দাম ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তেলের বর্তমান দাম ১৮ মাস আগের দামের চেয়ে ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এর মূল্যহ্রাসের কারণে সৌদি আরবের মতো বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো বিপাকে পড়েছে। এই কারণে দেশটির নাগরিক সুবিধা অনেকক্ষেত্রেই কমিয়ে আনতে হয়েছে।
সৌদি আরব জানিয়েছে, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেকে সব দেশ তেলের দাম বৃদ্ধিতে সহযোগিতা না করলে তাঁরা উৎপাদন কমিয়ে দেবে।
তেলের ওপর নির্ভরশীল সৌদি আরবের অর্থনীতি। সম্প্রতি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ঘোষণা দিয়েছেন, ২০১৬ সালে তেলের বাইরেও অন্য কোনো খাত থেকে রাজস্ব আদায় করা হবে।
জানা গেছে, তেলর দাম কমায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ভেনেজুয়েলা। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাশিয়া, ইরান ও সৌদি আরবসহ ওপেকের দেশগুলোকে তেলের দাম বাড়ানোয় পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির প্রতিনিধিরা।