যোদ্ধা নিয়োগ বন্ধ রেখেছে ওয়াগনার, নজর এখন আফ্রিকা-বেলারুশে
ভাড়াটে যোদ্ধার দল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেছেন, আফ্রিকা ও বেলারুশে তাদের কার্যক্রম চলবে, তবে নতুন যোদ্ধা নিয়োগের কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে।
টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় প্রিগোঝিন জানান, ওয়াগনার গ্রুপ তাদের পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণে কাজ করছে। খবর বিবিসির।
ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসী হামলায় মূল ভূমিকা পালন করে। তবে, জুন মাসে কয়েক হাজার যোদ্ধা রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বল্প স্থায়ীত্বের এক বিদ্রোহেও অংশ নেয়।
অডিও বার্তায় প্রিগোঝিন বলেন, ‘ওয়াগনার যোদ্ধারা এখন ছুটিতে রয়েছেন, কারণ তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারা এখন ভবিষ্যৎ কাজের জন্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে রাশিয়ার মহত্বের জন্য।’
প্রিগোঝিন তার বার্তায় আরও বলেন, ‘ওয়াগনার আফ্রিকায় ও বেলারুশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সক্রিয় থাকবে। তিনি এ বিষয়ে আর কোনো বিশদ বর্ণনা দেননি। তবে, জানা গেছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি এলাকায় ওয়াগনার সক্রিয়। পাশাপাশি বেলারুশে এই যোদ্ধারা দেশটির সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’
প্রিগোঝিন বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগতভাবে কোনো ঘাটতি দেখছি না বলেই নতুন নিয়োগের বিষয়ে পরিকল্পনা করছি না। যদিও মাতৃভূমির জন্য প্রয়োজন হলে, আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষায় কোনো নতুন দলের প্রয়াজন হয় তবে নিশ্চয়ই আমরা যোদ্ধা নিয়োগ শুরু করব।’
ওয়াগনার প্রধান আরও জানান, তার যোদ্ধাদের রাশিয়ার অন্য কোনো শক্তি কাঠামোয় বদলির বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই, তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও কিছু লোক তাতে রাজি হয়েছিল।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ২৪ জুন ওয়াগনারের ব্যর্থ বিদ্রোহের পর, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেসব যোদ্ধা ওই বিদ্রোহে অংশ নেয়নি তাদের রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আমন্ত্রণ জানান।