সিংহ-সিংহীর নাম আকবর-সীতা করায় বরখাস্ত সেই বন কর্মকর্তা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/02/26/bhaart.jpg)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি জেলায় সম্প্রতি সিংহ ও সিংহীর নামকরণ বিতর্কে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। কেন সিংহের নাম আকবর, আর সিংহীর নাম সীতা রাখা হবে, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এই বিতর্কের মধ্যেই গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরার মুখ্য বন সংরক্ষণবিদ (বন্যপ্রাণী ও পর্যটন) প্রবীণ লাল আগরওয়ালকে বরখাস্ত করেছে রাজ্য সরকার।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ এবং ‘হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
বর্তমানে শিলিগুড়ির সাফারি পার্কে ওই সিংহ আর সিংহীকে রাখা হলেও, তাদেরকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজলা জুলজিক্যাল পার্ক থেকে নিয়ে আসা হয়।
পশ্চিবঙ্গের বন দপ্তরের তরফে জানানো হয়, ত্রিপুরাতেই ওই সিংহ আর সিংহীর নামকরণ করা হয়েছিল। নতুন করে কোনও নামকরণ করা হয়নি।
নামকরণ বিতর্কের জেরেই ত্রিপুরা প্রশাসন রাজ্যের মুখ্য বন সংরক্ষণবিদ (বন্যপ্রাণী ও পর্যটন) প্রবীণ লাল আগরওয়ালকে বরখাস্ত করেছে।
অপরদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যের বন দপ্তর সিংহ ও সিংহীটির নামকরণ করে এবং তাদের একসঙ্গে রেখে ধর্মের অবমাননা করেছে। হাইকোর্টে করা মামলায় যুক্ত করা হয় রাজ্যের বন দপ্তর এবং জলপাইগুড়ি সাফারি পার্কের পরিচালককেও। বিতর্ক এড়াতে রাজ্যকে নামবদলের পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। মৌখিকভাবে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার রাজ্যের উদ্দেশে ওই দুই পশুর নাম পরিবর্তন করে নিতে বলেন। সেই সঙ্গে মামলাকারীকে এই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দেন।
ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজলা চিড়িয়াখানা থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে আসা হয় এই সিংহ দম্পতিকে। তাদের সঙ্গে আনা হয় একজোড়া লেপার্ড ক্যাট ও চশমাবাঁদর বা ম্যাজেস্টিক লাঙ্গুরও। বাকি পশুদের নিয়ে কোনো বিতর্ক দেখা না গেলেও ঝামেলা বেঁধেছে বনের রাজা সিংহকে নিয়ে।