ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রিয়াদে রুশ-মার্কিন আলোচনা শুরু

দ্রুত যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের আলোচনার একদিন পর আজ সোমবার (২৪ মার্চ) সৌদি আরবে রুশ-মার্কিন আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজধানী রিয়াদে একটি বিলাসবহুল হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা নিয়ে রুদ্ধদ্বার এই আলোচনা শুরু করেছেন। খবর এএফপির।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো ২০২২ সালে কৃষ্ণসাগর চুক্তির আলোকে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো। গতকাল রোববার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা একই স্থানে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আজ সোমবারও তারা একইভাবে আলোচনায় বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর এর ফলে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
গত তিন বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধ থামাতে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর রিয়াদে চলতে থাকা এসব আলোচনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে একটি সমাধান বেরিয়ে আসতে পারে।
এর আগে এ মাসেই ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির একটি মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হয় ইউক্রেন, তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাই কর্মকর্তারা এখন কৃষ্ণসাগর উদ্যোগকে নতুন করে শুরু করা যায় কিনা তা পরখ করে দেখছেন। ওই চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের বন্দর থেকে লাখ লাখ টন শস্য ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ তার দৈনিক ব্রিফিংয়ে বলেন, কৃষ্ণসাগর উদ্যোগ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলো আজকের আলোচ্যসূচিতে আছে। এটা ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন এতে সম্মত হয়েছেন। আর এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য রুশ প্রতিনিধিদল রিয়াদ সফর করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক অ্যান্ড্রু পিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাইকেল অ্যান্টন।
ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভ। তিনি জানান, প্রথম দফার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানান, বৈঠকে জ্বালানি ক্ষেত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আমি মনে করি সোমবার সবাই সত্যিকার কিছু অগ্রগতি দেখতে পারবেন। বিশেষ করে কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলে অস্ত্রবিরতি মেনে চলার মতো বিষয়ে। এখান থেকেই হয়তো পূর্ণ অস্ত্রবিরতি চুক্তি বেরিয়ে আসবে।