ইউক্রেনে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৪

ইউক্রেনে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে রাজধানী কিয়েভে ১২ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক মানুষ। আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
এই হামলার পর প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড নিজেদের আকাশসীমা সুরক্ষিত করতে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। ন্যাটোর অভিযোগ, রাশিয়া বারবার তাদের জোটের সদস্য দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার পর বলেন, মস্কো হত্যা ও লড়াই চালিয়ে যেতে চায়। পুরো বিশ্বের উচিত তাদেরকে কঠোর চাপ দেওয়া। রাশিয়া যতদিন জ্বালানি বিক্রি থেকে লাভবান হবে, ততদিন এই যুদ্ধ ও সন্ত্রাস চালিয়ে যাবে। ইউক্রেনের মিত্রদের কাছে দেশটির বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্য রাশিয়ার দাবি, তারা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এই সংঘাতে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা দেশটি কখনো স্বীকার করেনি।
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিয়েভ ছাড়াও জাপোরিঝিয়া, ওদেসা, সুমি, চেরকাসি ও মিকোলাইভ অঞ্চলে ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হামলার ফলে আবাসিক ভবন, একটি কার্ডিওলজি সেন্টার ও একটি কিন্ডারগার্টেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলছেন, পূর্ব, মধ্য ও দক্ষিণ ইউক্রেনে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ মোট ৬৪৩টি ড্রোন ও রকেট নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। এই হামলা প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলে।
অন্যদিকে পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়ায় পোল্যান্ড তাদের আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। স্থল-ভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

জেলেনস্কি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলের কাছ থেকে একটি মার্কিন-নির্মিত প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে তারা এবং আরও দুটি শিগগিরই আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সংঘাতের শুরুতে ইসরায়েল নিরপেক্ষ থাকলেও রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক এখন অনেকটাই শীতল। কারণ রাশিয়া ইরানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের নিন্দা করছে।