গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত, নিখোঁজ ৮০

ফিলিস্তিনের গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় একাধিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫৫ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও প্রায় ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা ‘সম্পূর্ণ অর্থে একটি গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, আহতদের চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালগুলো, রক্তের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে রক্তদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের বালাতা শরণার্থী শিবির ও নাবলুস এলাকায় বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৮ জন আহত হয়েছেন।
সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকেও মৃত বলে ধরা হচ্ছে।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।