ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ১৫০০ বছর ধরেই : ট্রাম্প

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ ‘যেকোনো একভাবে সমাধান হয়ে যাবে’।
ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলার ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প এ কথা বলেন।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘১ হাজার ৫০০ বছর ধরে ওই সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। তাই, আপনি জানেন, এটি আগে যেমন ছিল তেমনই আছে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা হচ্ছে, কিন্তু এটি সবসময়ই ছিল। তবে তারা এটি যেভাবেই হোক সমাধান করবে।’
এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড শুক্রবার পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে ভারতকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তুলসি গ্যাবার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘ভয়াবহ ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে আমরা ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। পেহেলগামে হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু করে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে।’
তুলসি গ্যাবার্ড আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের জন্য এবং ভারতের সব মানুষের জন্য আমার প্রার্থনা ও গভীর সমবেদনা। এই জঘন্য হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমরা আপনার (মোদি) সঙ্গে আছি এবং আপনাকে সমর্থন করছি।’
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনপিআরের খবরে বলা হয়, ‘ভারত এখনও পর্যন্ত হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ জনসমক্ষে উপস্থাপন করেনি। ভারতের ডানপন্থি সংবাদভিত্তিক চ্যানেলগুলো পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে এবং প্রতিশোধের আহ্বান জানিয়েছে।’ তবে কিছু ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক সশস্ত্র পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন।

এদিকে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে বলেছেন, ‘আমেরিকা আমাদের প্রিয় বন্ধু ভারতের সঙ্গে আছে এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।’
নিউইয়র্কের সিনেটর এবং সিনেটের ডেমোক্র্যাটিক নেতা চাক শুমার বলেন, ‘এই ধরনের অযৌক্তিক সহিংসতার জন্ম দেয় এমন বিদ্বেষের প্রতি কোনো সহনশীলতা থাকতে পারে না।’
সম্প্রতি পাকিস্তান সফরকারী কংগ্রেসম্যান টম সুজি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য সিনেটর জিন শাহীন বলেছেন, ‘আমি আশা করি, কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে।’