ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ‘অন্যায্য’ বাণিজ্য চর্চার তদন্ত শুরু করলেন ট্রাম্প

ব্রাজিলের বিরুদ্ধে "অন্যায্য" বাণিজ্যিক চর্চা নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দফতরের (ইউএসটিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তদন্তে ব্রাজিল সরকারের ডিজিটাল বাণিজ্য, ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সেবা, পক্ষপাতমূলক শুল্কনীতি, দুর্নীতি দমন নীতিতে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। খবর বিবিসির।
বিবৃতিতে বলা হয়, এসব নীতি "অযৌক্তিক বা বৈষম্যমূলক এবং মার্কিন বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কি না" তা নির্ধারণ করতেই এই তদন্ত।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তাকে "উইচ হান্টের" শিকার বলেও মন্তব্য করেন।
এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, “এই তদন্ত ট্রাম্পের নির্দেশে শুরু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য ব্রাজিলের মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর হামলা এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক বাধা খতিয়ে দেখা।”
গ্রিয়ার অভিযোগ করেন, ব্রাজিল যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য শুল্ক হ্রাস করে মার্কিন রপ্তানি খাতে বৈষম্য তৈরি করছে।
ডিজিটাল বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিগুলোর ওপর রাজনৈতিক বক্তব্য সেন্সর না করায় দণ্ড দেওয়ার চেষ্টা।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকার সুরক্ষায় দুর্বলতা, যা মার্কিন প্রযুক্তি ও সৃজনশীল খাতের কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
গ্রিয়ার বলেন, “আমি মনে করি ব্রাজিলের শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধাগুলো যথাযথভাবে তদন্তযোগ্য এবং প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”
ট্রাম্প গত সপ্তাহে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে পাঠানো এক চিঠিতে এই তদন্তের হুমকি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতেই তিনি আগামী ১ আগস্ট থেকে ব্রাজিলিয়ান পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লুলা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক বাড়ায়, ব্রাজিলও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।”

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের মধ্যে মোট বাণিজ্য ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলার।
এর মধ্যে মার্কিন বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৭.৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।