কাশ্মীরে হামলার করেনি পাকিস্তান, করলে বিশ্ব জানবে : প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ভারত-শাসিত কাশ্মীরে হামলার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বৃহস্পতিবার (৮ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘আমরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ধরনের হামলা চালাইনি।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আরও জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান যখন কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে, তখন তা বিশ্ববাসী জানতে পারবে। তিনি বলেন, ‘আমরা হামলা করে তা অস্বীকার করার নীতিতে বিশ্বাসী নই।’
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে বিস্ফোরণ এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর গণমাধ্যমে আসার পরপরই খাজা আসিফ এই মন্তব্য করেন।
খাজা আসিফ জানান, পাকিস্তানের মিত্র রাষ্ট্রগুলো তাদের সংযম প্রদর্শনের পরামর্শ দিয়েছে। ফলে তার দেশ ‘ধৈর্য ধরছে’, তবে পরিস্থিতি এমন এক ‘সন্ধিক্ষণে’ পৌঁছেছে যেখানে কোনো ‘সুরাহা’ দেখা যাচ্ছে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন উল্লেখ করে খাজা আসিফ বলেন, সেই আলোচনা হয়তো কোনো আশার আলো দেখাতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, ভারতের পক্ষ থেকে ‘কোনো ছাড়’ দেওয়া হয়নি এবং পাকিস্তানকেও এর প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
এর আগে এদিন রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। রাত ৯টার দিকে জম্মু শহরে একাধিক জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরপরই পুরো শহরে সাইরেন বাজতে শুরু করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, হামলার কারণে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইলফোন পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাঠানো ভিডিও ফুটেজে আকাশে আলোর ঝলক দেখা গেছে।
জম্মু ছাড়াও প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরের শহর কুপওয়ারা ও পাঞ্জাবের নিকটবর্তী পাঠানকোট শহরেও একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।