ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দিতে সুপারিশ করবে পাকিস্তান

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে ভূমিকা রাখায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগামী বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
করাচিভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক ডনের খবরে বলা হয়েছে, এটি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়নের নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে পাকিস্তান সরকার জানায়, ‘ভারতের অপ্রত্যাশিত ও অবৈধ আগ্রাসনের সাক্ষী হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এটি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার গুরুতর লঙ্ঘন ছিল। এর ফলে শিশু ও বৃদ্ধসহ বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।’
ভারতের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ‘বুনিয়ানুম মারসুস’নামে সামরিক অভিযান চালায় পাকিস্তান। এটি ছিল একটি পরিমিত, দৃঢ় ও সঠিক সামরিক প্রতিক্রিয়া’বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
পোস্টে আরও বলা হয়, এই প্রতিক্রিয়া দেশটির আত্মরক্ষা সম্পর্কিত মৌলিক অধিকার প্রয়োগ ও সতর্কতার সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নেওয়া হয়েছে। এতে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং জনগণের ক্ষতক্ষতি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, একটি উত্তেজনাপূর্ণ আঞ্চলিক পরিস্থিতির মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসলামাবাদ ও দিল্লির সঙ্গে দৃঢ় কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার বিশাল কৌশলগত দূরদর্শিতা ও অসাধারণ রাষ্ট্রনেতার ভূমিকা দেখিয়েছেন।
এতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে একটি বৃহত্তর সংঘর্ষ এড়াতে সক্ষম হয়েছেন, যা এই অঞ্চল ও তার বাইরের কোটি মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারত।

পোস্টে বলা হয়, ‘এই হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তিনি (ট্রাম্পের) প্রকৃত শান্তির দূত হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। পাশাপাশি, এটি সংলাপের মাধ্যমে সংঘর্ষ সমাধানের বিষয়ে তার অঙ্গীকারের প্রমাণ।’