গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত শতাধিক

গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) হামাস পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছেন, গত রাত থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার একটি পরিবারও রয়েছে, যেখানে বাবা, মা ও সন্তানসহ পরিবারের ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও একটি দাতব্য ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে মধ্যরাত থেকে বিমান হামলায় শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়। রাতভর এই হামলায় গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপিয়ান হাসপাতাল এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এটি গাজার একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসার কেন্দ্র ছিল।
গাজা শহরের কিছু অংশে নতুন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিরক্ষা বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, তারা ‘তীব্র শক্তি’ দিয়ে আক্রমণ করবে।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যেই গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও আশ্রয় সামগ্রীসহ সহায়তার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ দশ সপ্তাহ ধরে অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে, মুক্তি পাওয়া প্রাক্তন বন্দিরা ইসরায়েলি সরকারের কাছে একটি খোলা চিঠিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে বাকি বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করা যায়।