ইরানের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৭

ইরানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর রোববার (১৫ জুন) রাত পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাত জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া ইরানের হামলায় আরও দুই শতাধিক ইসরায়েলি আহত হয়েছে। খবর সিএনএন ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (১৪ জুন) রাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে চারজন নিহত হয়। জাতীয় জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) এর আগে ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি শহর তামরায় একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘সরাসরি আঘাতে অস্ত্র পড়ে ৪০ বছর বয়সী দুই নারী, ২০ বছর বয়সী এক নারী ও ১৩ বছর বয়সী এক মেয়ে নিহত হয়েছে। তারা আরও জানায়, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আহত হয়েছেন। জরুরি উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের খোঁজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

এমডিএ ও ইসরায়েলি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরবর্তী ধাপে মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। একটি ভবনে আঘাত হানার পর প্রায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এর আশেপাশের অনেক ভবনের ক্ষতি হয়েছে।
এই হামলার পর মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০০ জনেরও বেশি লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চলমান এই আক্রমণগুলো ইসরায়েলের জনগণের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ও অস্থিরতা তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা করা হয় ইসরায়েলে। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।