ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে আজ রোববার (১৫ জুন) টানা তৃতীয় দিনের মতো পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এর মাঝেই ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আরও খারাপ পরিস্থিতি আসতে চলেছে। খবর বার্তা সংস্থা এপির।

তেহরানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অপরদিকে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে দেশটির অভ্যন্তরে বেশকিছু ভবনে আঘাত হেনেছে।

ইসরায়েলের উদ্ধার পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলে রাতভর এবং আজ রোববার ইরানি হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। এতে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে পৌঁছেছে। দেশটির প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং আকাশসীমা তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে।

তবে আজ রোববার এখনও নতুন করে হতাহতের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানায়নি ইরান। জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূতের আগের দিন জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলি হামলায় ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে ‘আমরা জড়িত হতে পারি’।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের র‍্যাচেল স্কটের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘এই মুহূর্তে এ সংঘাতে জড়িত নয়’।

ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সংঘাতের মধ্যস্থতাকারী হলে তিনি (আলোচনার জন্য) ‘উন্মুক্ত’ থাকবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (পুতিন) প্রস্তুত। তিনি আমাকে এ বিষয়ে ফোন করেছিলেন। আমাদের এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’

গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা করা হয় ইসরায়েলে। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।