পাচারের সময় উদ্ধার করা ১২০০ বিপন্ন পাখি বনে অবমুক্ত

খাঁচাবন্দি অবস্থায় পাচারের সময় এক হাজার ২০০টিরও বেশি বিপন্ন জাভান সাদা চোখের পাখি উদ্ধার করেছে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার হওয়া জীবিত পাখিগুলোকে আবার বন্য পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই জনপ্রিয় খাঁচার পাখিটিকে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়ন (আইইউসিএন) বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় রেখেছে। একই সঙ্গে, ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় একে একটি সংরক্ষিত প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
একটি প্রাদেশিক সংরক্ষণ সংস্থার কর্মকর্তা জোকো ওয়ালুইয়ো রোববার (১৩ জুলাই) সাংবাদিকদের জানান, কর্মকর্তারা গত শুক্রবার (১১ জুলাই) পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপের একটি বন্দরে আটটি খাঁচায় বিপুল সংখ্যক পাখির খোঁজ পান। এর মধ্যে ১৪০টি পাখি মৃত অবস্থায় ছিল। পাখিগুলোকে ফেরিতে করে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভার পূর্বে অবস্থিত সুরাবায়া শহরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

জোকো বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি ৮টি পাখির খাঁচায় মোট এক হাজার ২৬০টি জাভান সাদা চোখের পাখি নিয়ে এসেছিল। এর মধ্যে ১৪০টি মৃত পাওয়া গেছে। যে পাখিগুলো জীবিত ছিল, সেগুলোকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জোকো আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো আটক করা হয়নি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত প্রজাতির পাখি শিকার বা ব্যবসা করলে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা ও তাদের আবাসস্থল নষ্ট হওয়ার কারণে সুমাত্রান হাতি থেকে শুরু করে ওরাঙওটান পর্যন্ত অসংখ্য বিপন্ন প্রজাতি বিলুপ্তির পথে চলে এসেছে।