হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব যুক্তরাষ্টের

বছরের শেষ নাগাদ ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য লেবাননকে একটি প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করা ও পাঁচটি অবস্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত টম ব্যারাক কর্তৃক জমা দেওয়া এই পরিকল্পনাটি বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) লেবাননের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
লেবাননের তথ্যমন্ত্রী পল মরকোস জানান, মন্ত্রিসভা কেবল ব্যারাকের পরিকল্পনার উদ্দেশ্যগুলো অনুমোদন করেছে, বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। মার্কিন প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো— হিজবুল্লাহসহ অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির সশস্ত্র উপস্থিতি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা, সীমান্তে লেবাননের বাহিনী মোতায়েন করা ও ইসরায়েলের প্রত্যাহার নিশ্চিত করা।
প্রস্তাবটি নভেম্বরে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ‘সম্প্রসারিত ও স্থিতিশীল’ করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে— ১৫ দিনের মধ্যে লেবানন সরকারকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ সালের মধ্যে হিজবুল্লাহর সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করতে হবে। এছাড়া, ১২০ দিনের মধ্যে হিজবুল্লাহর অবশিষ্ট ভারী অস্ত্র— ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে হবে।

প্রস্তাবটি নিয়ে হিজবুল্লাহর কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য ছিল না। তবে, তিনটি রাজনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ও তাদের শিয়া মিত্রদের মন্ত্রীরা এই প্রস্তাবের আলোচনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে সরে এসেছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা এই প্রথম নয় ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি গোষ্ঠীর নিজস্ব।