দিল্লি-ওয়াশিংটন ফ্লাইট স্থগিত করলো এয়ার ইন্ডিয়া

বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া সেপ্টেম্বরের মধ্যে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন ডিসির মধ্যে তাদের সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। বোয়িং বিমানের আপগ্রেডেশনের ফলে সৃষ্ট বিমানের ঘাটতি এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এই স্থগিতাদেশের ফলে আপাতত দুটি রাজধানীর মধ্যে কোনো ভারতীয় বিমান সংস্থার সরাসরি ফ্লাইট থাকবে না।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তাদের ২৬টি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান যাত্রীদের উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য নতুন করে সাজানো হচ্ছে, যা অন্তত ২০২৬ সাল পর্যন্ত বিমানের সংখ্যা কমিয়ে দেবে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই স্থগিতাদেশের প্রধান কারণ হলো— বহরে পরিকল্পিত ঘাটতি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা, যা বিমান সংস্থার দীর্ঘ দূরত্বের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোকে প্রভাবিত করছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে মারাত্মক হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এই হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করে, যদিও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়া মনে করে পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ১২ মাসে তাদের ৬০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
জুনে আহমেদাবাদে একটি বোয়িং বিমান দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া কঠোর নিয়ন্ত্রক তদন্তের মুখোমুখি হয়। এই দুর্ঘটনার পর পরই ওয়াশিংটন-দিল্লি ফ্লাইট স্থগিত করা হলো।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওয়াশিংটন, ডিসিতে যাতায়াতের জন্য যাত্রীরা তাদের অংশীদার যেমন- আলাস্কা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও ডেল্টা এয়ার লাইনস-এর ফ্লাইটে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।