করাচিতে ‘র’ এর নেটওয়ার্ক, গ্রেপ্তার ৬

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। করাচিতে পরিচালিত একটি বড় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ও তাদের আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করেছে সিটিডি। খবর জিও নিউজের।
সিটিডি জানায়, অভিযানটি তারা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করেছে। অভিযানে তারা ‘র’ এর জন্য কাজ করা একটি চক্রকে পুরোপুরি উন্মোচন করতে পেরেছে।
সিটিডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আজাদ খান আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৮ মে বাদিনে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় গত ৮ জুলাই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীরা বিদেশে অবস্থানরত ‘র’ এর এজেন্ট সঞ্জয় সঞ্জীব কুমার পরিচালিত একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের সন্ধান পান, যিনি সন্দেহভাজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং চক্রটি পরিচালনা করে আসছিলেন।
আজাদ খান বলেন, সন্দেহভাজনরা হত্যাকাণ্ড চালানোর আগে বাদিনের মাতলিতে পাঁচ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়েছিল। পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী তিনজনকে শনাক্ত এবং পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের খবর আনন্দের সঙ্গে প্রচার করা হয়েছে, যা ঘটনার পেছনে ‘র’ এর হাত থাকাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
সিটিডি কর্মকর্তা আজম খান বলেন, ভারতীয় ‘র’ এর হয়ে কাজ করা সঞ্জয় সঞ্জীব কুমার উপসাগরীয় একটি দেশে বাস করেন, যিনি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দুই পাকিস্তানিকে নিয়োগ করেছিলেন। এই চক্রের মধ্যে সালমান নামের এক সন্দেহভাজনের গঠিত একটি গ্যাং রয়েছে। এই গ্যাংয়ের বাকি সদস্যরা হলেন উমাইর, সাজাদ, ওবায়েদ ও শাকিল।

আজম খান বলেন, ‘র’ তাদের এই অভিযানে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। ব্যাংক চ্যানেল ও অন্যান্য উৎসের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করা হয়েছে। ‘র’ এর এজেন্ট সঞ্জয় উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে তার সহযোগী সালমানকে টাকা পাঠাতেন। সালমান পরে হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারা পাঁচ দিন স্থানীয় একটি হোটেলে অবস্থান করেছিলেন এবং পরে মাতলিতে হত্যাকাণ্ড সংঘটনের জন্য যান। হামলার পর সালমান নেপালে পালিয়ে যান।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত করে জানান, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্থানান্তরিত অর্থ সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের প্রমাণ দেয়।