নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন, পুড়ে মারা গেলেন স্ত্রী

নেপালে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালনাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ডাল্লু এলাকার তাদের বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলে তিনি মারা যান। খবর এনডিটিভির।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা খানালের স্ত্রী চিত্রকরকে বাড়ির ভেতর আটকে রেখে আগুন দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর স্বল্পমেয়াদি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করে। হিমালয়ের এই দেশটির রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এই বিক্ষোভ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। জনরোষের মুখে মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বিক্ষোভকারীরা তার নিজের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
বিক্ষোভের সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পাউডেলকে রাজধানীর রাস্তায় ধাওয়া করে নির্মমভাবে মারধর করা হয়, যার একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভের কারণ
সরকার ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার পর ‘জেন জেড’ নামে পরিচিত তরুণদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জনতার ওপর গুলি চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়, যার মধ্যে অনেকেই স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থী।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রতি ক্ষোভ ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনরোষের কারণে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু শীর্ষ নেতার বাড়িতে ও সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয় ও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কিছু মন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।