সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স, গ্রেপ্তার দুই শতাধিক

ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে দুই শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বামপন্থি দলগুলোর নেতৃত্বে ‘ব্লক এভরিথিং’ ব্যানারে দেশজুড়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবাদকারীরা স্থানীয় সময় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে আবর্জনার বাক্সে আগুন ও মহাসড়ক অবরোধ করে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকারের প্রতি তাদের হতাশা প্রকাশ করে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যারা কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেইলউ জানান, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রেনেসে একটি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতির কারণে ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আগের বিক্ষোভগুলোর তুলনায় এই প্রতিবাদ প্রাথমিকভাবে শান্ত বলে মনে হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ‘ব্লক এভরিথিং’ আন্দোলনটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেয়রু’র কঠোর বাজেট নীতির ওপর ক্রমবর্ধমান হতাশার ফল। এই নীতিতে দারিদ্র্য ও বৈষম্য তীব্রভাবে বেড়ে গেছে।
গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেয়রু পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর ম্যাক্রোঁ তার ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি ফ্রান্সের পঞ্চম এবং এক বছরের মধ্যে চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।

লিওঁর একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রকে শীর্ষ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত ‘গালে চপেটাঘাত’।
এই আন্দোলনটি ম্যাক্রোঁর প্রথম মেয়াদের ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়, তখন জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও ব্যবসা-বান্ধব নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছিল।