গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ধোঁয়াশা

গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯১ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে গাজা সিটিতে কমপক্ষে ৪৮ জন রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের ব্যাপকভাবে সমালোচিত স্থল আক্রমণ আরও তীব্র করছে। খবর আলজাজিরার।
এদিকে, মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গাজার আল-আওদা হাসপাতাল জানিয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
গাজার বৃহত্তম শহরটিতে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। এই মানুষগুলো বর্তমানে চারদিক থেকে গুলিবর্ষণের শিকার, আটকা পড়েছে ও অনাহারে রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও হামাস এখনো তা পায়নি। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা নিয়ে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’ তবে তিনি চুক্তির বিষয়বস্তু বা সময়সূচির কোনো বিবরণ দেননি।
আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হামাস কর্মকর্তা বলেন, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে ‘কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়নি’। ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে ইসরায়েল এখনো কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ট্রাম্প আগামী সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। নেতানিয়াহু এমন একটি কট্টর ডানপন্থি শাসক জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যারা হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার বিরোধিতা করছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৫৪৯ জন নিহত ও এক লাখ ৬৭ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মোট এক হাজার ১৩৯ জন নিহত ও প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল।