ফ্লোটিলার নিরাপত্তা দিতে ইতালি-গ্রিসের আহ্বান

গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ে যাওয়া জাহাজবহর (ফ্লোটিলা) এর কর্মীদের কোনো ক্ষতি না করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ইতালি ও গ্রিস।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই জাহাজে থাকা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ও তাদের সুরক্ষার জন্য দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে সব ধরনের সাহায্য দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। খবর আলজাজিরার।
কেন এই জাহাজবহর যাচ্ছে?
২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আকাশপথ ও নৌপথ অবরোধ করে রেখেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই অবরোধ আরও কঠোর করা হয়।
ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গাজায় খাবার, পানি, ওষুধসহ জরুরি সামগ্রীর তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। সেখানকার মানুষ বর্তমানে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছে।
এই অবস্থায়, ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বিশ্বের ৪৪টি দেশের ৫০টিরও বেশি জাহাজ নিয়ে একটি বিশাল নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ স্পেনের বার্সেলোনা থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো- নৌপথে ইসরায়েলের এই অবৈধ অবরোধ ভেঙে সহায়তা পৌঁছানো।
এই বহরে সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ, অভিনেতা লিয়াম কানিংহামসহ ডাক্তার, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা আছেন।
এই ফ্লোটিলা যাত্রা শুরু করার পর তিউনিসিয়া ও গ্রিস উপকূলে বেশ কয়েকবার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। এর সুরক্ষার জন্য ইতালি ও স্পেন সামরিক জাহাজও পাঠিয়েছে।

বিবৃতিতে ইতালি ও গ্রিস কর্মীদের কাছে জেরুজালেমের ক্যাথলিক চার্চের (ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্কেট) একটি প্রস্তাব বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। সেই প্রস্তাবটি ছিল— সাহায্য যেন সরাসরি চার্চের হাতে দেওয়া হয় ও তারাই গাজায় সেটি বিতরণ করে। তবে ফ্লোটিলার কর্মীরা এই প্রস্তাব আগে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
রোম ও এথেন্স পরিষ্কারভাবে বলেছে, গাজায় সহজে মানবিক সাহায্য ঢোকার সুযোগ করে দেওয়া ও যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো এখন সবচেয়ে জরুরি।