ইসরায়েলের বাধার মুখেও গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ৩০ নৌযান

ইসরায়েলের বাধার পরও ফিলিস্তিনের গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী ৩০টি নৌযান। সেগুলো উপত্যকাটি থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বলে বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জানানো হয়েছে। এই নৌবহর থেকে অনেক অধিকারকর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি সেনারা, যাদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে ভূমধ্যসাগরে গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনী এই নৌবহরে বাধা দেয়। তাদের অন্তত ১৩টি নৌযান নৌকা থামিয়ে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর আরোহীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তার বন্ধুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযানে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিগত প্রায় দুই বছরে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্য সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে গাজার বাসিন্দাদের অনাহার-অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে।

এই নৌবহরের প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এতে যুক্ত হয়। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। শুরু থেকেই ইসরায়েল এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে আসছে, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।