গাজা চুক্তি নিয়ে আলোচনা ‘কয়েক দিন’ চলবে : ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য বর্তমানে যে আলোচনা চলছে, তা কয়েক দিন ধরে চলবে। অন্যদিকে, তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে। খবর এএফপির।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান, আমরা যখন কথা বলছি, তখন তারা আলোচনায় আছে। তারা আলোচনা শুরু করেছে। এটি কয়েক দিন স্থায়ী হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখব এটি কীভাবে হয়। তবে আমি শুনছি এটি খুব ভালোভাবে চলছে।
মার্কো রুবিও জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইসরায়েলি বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সিবিএস নিউজের টক শো ‘ফেস দ্য নেশন’-এ তিনি বলেন, আমি মনে করি ইসরায়েলিসহ সবাই স্বীকার করে, হামলার মাঝখানে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া যাবে না, তাই হামলা বন্ধ করতে হবে।
রোববার প্রকাশিত সিএনএন-এর সঙ্গে টেক্সট বিনিময়ে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। ইসরায়েল ও হামাসের আলোচকরা মিশরের রিসোর্ট শহর শার্ম এল-শেখে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন, জিম্মিদের কয়েক দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
এই কূটনৈতিক পদক্ষেপটি আসার কারণ হচ্ছে— যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য ট্রাম্পের রোডম্যাপের প্রতি হামাস ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

মার্কো রুবিও এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বলেন, জিম্মিদের নিরাপদে মুক্তি দেওয়ার পথ তৈরি করতে কিছু লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ বা বাস্তব সমস্যা সামলাতে হবে। তিনি ধারণা দেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা অঞ্চলটি ভবিষ্যতে কীভাবে শাসন করা হবে ও হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে— সেই দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলো অর্জন করা আরও কঠিন হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিএনএনকে জানান, তিনি দ্রুতই স্পষ্ট উত্তর চান, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি (যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে সংঘাত শুরু করেছিল) এখন শান্তির পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা। ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি হামাস ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না হয়, তবে তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করা হবে।