অভিনব উপায়ে প্রতারণা করাই তাদের পেশা, গ্রেপ্তার তিন

নোয়াখালীতে বিভিন্ন মানুষের কাছে প্রতারণা করে প্রায় এক কোটি ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুরুজ্জামান মিয়া, হাবিবুর রহমান ও রিনা বেগম। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ, যশোর ও নরসিংদি জেলায়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ আজ সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নোয়াখালী, চাঁদপুর, নরসিংদি, মৌলভীবাজার ও জামালপুরসহ দেশের আরো কয়েকটি জেলার সাত ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে অভিযুক্তরা ধাপে ধাপে মোট এক কোটি ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
জেলার সোনাইমুড়ী থানার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ফারুক বাদী হয়ে এই চক্রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নোমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মামলাটি নিয়ে প্রায় চার মাস তদন্ত করে। এরপর গতকাল রাতে ঢাকার মাতুয়াইল মহিলা মাদ্রাসার কাছের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
সিআইডি কর্মকর্তা জানান, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র গঠন করে মানুষদের কৌশলে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে এ অপকর্ম করে। তাদের কাউকে সৌদি সরকারের অর্থায়নে মসজিদ ও মাদ্রাসা বা কাউকে নতুন বিল্ডিং করিয়ে দিবে বলে ঢাকায় নিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কৌশলে বিভিন্ন জমিজমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সংগ্রহ করে। এসব প্রতারণার শিকার মানুষদের নগদ অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য প্রলুব্ধ করে। এ মামলার তদন্তকালে নোয়াখালীসহ পাঁচ জেলার মোট সাত ব্যক্তি কাছ থেকে এভাবে টাকা আত্মসাত ব্যাপারে জানতে পারে সিআইডি।
সিআইডির কর্মকর্তারা আরও জানান, তাদের গ্রেপ্তারের খবরে প্রতারণার শিকার আরো লোকজন এরই মধ্যে সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগে করছে।
আজ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করবে বলে জানায় সিআইডি।