চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, ডিজেলে কমল ৫ শতাংশ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/28/rice-disel.jpg)
চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক তুলে নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ বাড়াতে চালের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। তবে, এটি সুগন্ধি চাল ছাড়া অন্য সব চালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অপরদিকে ডিজেলের আগাম কর প্রত্যাহার করে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে চাল ও ডিজেলের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে নওগাঁয় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলার ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং বিএডিসি ও বিসিআইসি সার ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চালের শুল্ক কমানোর বিষয়ে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেসময় তিনি প্রজ্ঞাপনের বিষয়টিও তুলে ধরেন।
পরে রাতে চালের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সুগন্ধি চাল ছাড়া যে কোনো চাল আমদানির ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। সুবিধাটি বহাল থাকবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁয় বলেন, ‘বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আমদানি শুল্ক আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সভায় শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকবে। আগে যেখানে বছরে দেড় লাখ মেট্রিক টন ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হতো, এখন সেখানে প্রতি মাসে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হবে। এতে বাজারে চালের দামে প্রভাব পড়তে বাধ্য। কারণ যাঁরা ওএমএস চাল কিনবে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাবে, তাদের বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না।’
ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিভি স্ক্রল অথবা নিউজে যদি দেখি কোনো ডিলার ওএসএম কিংবা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারকালে ধরা পড়েছে কিংবা কোনো অনিয়ম করেছে, তা হলে সে যেই হোক না কেন; ছাড় পাবে না। আগে জরিমানা করা হতো। এখন র্যাব ও পুলিশও মাঠে নামছে।’
অন্যদিকে, ডিজেলবিষয়ক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও অন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হ্রাসকৃত শুল্কহারে ডিজেল আমদানি করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ডিজেল আমদানিতে ৩৪ শতাংশ শুল্ক ছিল। এই কর এখন কমিয়ে ২৯ শতাংশ করা হয়েছে।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট সরকার প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৩৪ টাকা বড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন, কৃষি ও শিল্পসহ সবক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।