বিএনপির সমাবেশে বিনাভাড়ায় যাত্রী বহন করে উপহার পেলেন অটোরিকশা

ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত বিএনপির গণসমাবেশস্থলের দিন বিনা ভাড়ায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সভাস্থলে পৌঁছে দিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালক। দলের প্রতি এই ত্যাগ ও ভালোবাসার জন্য তাঁকে বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে তাঁর পারিবারিক ভরণপোষণের জন্য একটি ব্যাটারিচালিত নতুন অটোরিকশা উপহার দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল এগারটার দিকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বাড়িতে গিয়ে অটোরিকশাটি হস্তান্তর করেন। তিনি যে রিকশা দিয়ে নেতাকর্মীদের বিনা ভাড়ায় বহন করেছেন সেটি ছিল মালিকের। এখন তিনি নিজে একটি রিকশার মালিক হলেন।
রিকশা পেয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। আমি দেশকে ভালোবাসি, ‘মা’ কে ভালবাসি। আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই আমার। অঘোষিত হরতালে বাস বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীরা কীভাবে আসবে, সেই তাড়না থেকেই আমি বিনাভাড়ায় রিকশা চালানোর সিদ্ধান্ত নিই।

তিনি যে রিকশাটি চালাতেন সেটি ছিল মালিকের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। কিন্তু সংসার কীভাবে চলবে, মালিকের ভাড়া কীভাবে শোধ হবে সে চিন্তা না করেই গণসমাবেশের আগের দিন থেকেই তিনি বিনা ভাড়ায় নেতাকর্মীদের বহন করছিলেন।
রিকশা চালিয়ে তিনি তাঁর মেয়েকে মাস্টার্স আরেক ছেলেকে নটরডেম কলেজে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে এই রিকশাচালককে খুঁজে বের করেন বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার। বিএনপি নেতৃবৃন্দ যখন তাঁর বাড়িতে যান এবং উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন, সে সময় আমিনুল ইসলাম আবেগ কেঁদে ফেলেন।
এসময় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমিনুল ইসলামের এই কর্মকাণ্ড দলের হাইকমান্ড (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুদূর লন্ডনে বসে) দেখছিলেন অথচ আমরা দেখতে পাইনি। দলের প্রতি তাঁর এই অবদান প্রমাণ করে মানবতা এখনও মরেনি।
এসময় বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলাল, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য রুমন রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, উত্তর জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, যুবদল সভাপতি রুকনুজ্জামান রুকন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্যসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।