মাদ্রাসায় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় মাদ্রাসায় ছাত্রীকে (৪) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জালাল উদ্দিন নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টায় পুলিশ শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে শিশুর বাবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিন বরিশাল জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তিনি পাঁচ-ছয় মাস আগে এই মাদ্রাসায় চাকরি নেন।
স্থানীয়রা ও শিশুর পরিবার জানায়, ১৫ দিন হলো শিশুটিকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করেছে তার পরিবার। মা-বাবা দুজনই চাকরি করায় মাদ্রাসাতেই রাখা হয় শিশুটিকে। গতকাল রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন জালাল উদ্দিন নামের ওই শিক্ষক। তারপর শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে সব ঘটনা জানায়।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার বাচ্চা গতকাল রাতে বাসায় আসে। তার চলাফেরা আর কথাবার্তায় আমার সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসা করি। পরে সব বলে দেয়। আমি এই শিক্ষকের বিচার চাই।’
একটি মহল বিষয়টিকে অর্থ দিয়ে ফয়সালা করার অপচেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ করে শিশুটির পরিবার।
শিক্ষক জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের একটি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় মাদ্রাসার মালিক তাঁকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মালিকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। যে পাপ করবে তার বিচার হবে। অনেকেই তো অনেক কিছু করে। কেউ ধরা খায়, কেউবা খায় না।’
এ সময় জালাল উদ্দিনের আগের ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার মালিক ফোন কেটে দেন। পরে তাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বলেন, ‘এ ঘটনায় এলাকাবাসী মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হলে মেয়েটির বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।