আ. লীগে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে ঈদের দিনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রামটি প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রামের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় গ্রামবাসীদের আসামি করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ এজাহাভুক্ত আটজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বড় হাপানিয়া গ্রামের মুকুল আলী, আকিদুল ইসলাম, আবদুর রশিদ, শাহাবুল হোসেন, আরশাদ আলী, গিয়াস উদ্দিন, হামিদুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল ওহাব।
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাপানিয়া গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে নারী ও শিশুরা আতঙ্কে রয়েছে। এদের এক পক্ষ পুলিশ এবং অপরপক্ষ প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে।
গ্রামের কয়েকজন নারী জানান, ঈদের দিন তারা কেউই কোরবানি দিতে পারেননি। আগে গ্রামের সব মানুষ এক জায়গায় কোরবানি দিয়ে মাংস গ্রামের দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বণ্টন করতেন। কিন্তু সংঘর্ষের কারণে ঈদের দিন কোনো পশু জবাই হয়নি। আজ রোববার একটি গরু ও পাঁচটি ছাগল জবাই করা হয়েছে।
মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, ঈদের দিনে হামলাকারীরা ২০ বছর আগে তাঁর বাবাকে খুন করে। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যস্ততায় মামলাটি আপস-মীমাংসা করা হলেও পরবর্তীতে দফায় দফায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, গ্রামের মাদ্রাসার মালিকানাধীন ছয়বিঘা আমবাগান ইজারা দেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে শনিবার ঈদুল আজহার দিন সংঘর্ষ হয়েছে। একপক্ষ মামলা দায়ের করেছে। মামলায় এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রাম থেকে পুরুষেরা ভয়ে বাইরে অবস্থান করছে। তবে, নানী ও শিশুদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।