জেলেদের হামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আহত

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মা ইলিশ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় জেলেদের হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার বেতুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া এই দিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মা ইলিশ নিধনের অভিযোগে ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৫ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এক ইউপি সদস্যকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়ার দোগীরখাল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ সদসস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনার সময় জেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ইটের আঘাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহত হন।
খবর পেয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেমসহ অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
ইউএনও মো. জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আহত বিপুল চন্দ্র দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা লালমোহন এসেছেন।
অপরদিকে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুজাহিদুর রহমান বলেন, মনপুরার কোকস্টগার্ড সদস্যরা মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৫ জেলেকে আটক করেছে। এ সময় সাতটি মাছ ধরার ট্রলার ও ২০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এই দিন চরফ্যাশন থেকে মুজিবনগর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হানিফসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে লালমোহন থেকে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ইউপি মেম্বারকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ইউপি মেম্বারকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মেম্বার জেলেদের ট্রলারে ছিলেন। তিনি ভয় পেয়ে নদীতে লাফ দেন। তাই তাঁকে আটক করা হয়। পড়ে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।