বাসের দাবিতে রাবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ

পর্যাপ্ত বাস থাকা সত্ত্বেও গন্তব্যস্থলে না যেতে পেরে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারী এক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান। কিন্তু তারপরও ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের বাসের সংখ্যা কম। সে জন্য আমরা যাতায়াতের জন্য বাস পাচ্ছি না।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মোহা. মাইনুল হক বলছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবি সমাধান করা সম্ভব নয়।’
ভোগান্তির কথা বর্ণনা করে আরেক ছাত্রী বলেন, ‘আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএন্ডবিগামী বাসে আমরা ওঠার চেষ্টা করি। গাদাগাদি করে বাসের ভেতর ঠাসা থাকায় কিছু ছাত্রীর সুযোগ মেলেনি বাসের ভেতর ঢোকার। পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে একপর্যায়ে বেশ কিছু ছাত্রী বাস থেকে নেমে আসেন। প্রায়ই আমাদের এ রকম ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়।’
মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সান্তা সূত্রধর বলেন, ‘ছাত্রীরা আন্দোলন করল আর আজকের জন্য একটা বাস দিল। এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। এই জন্য দরকার স্থায়ী কোনো সমাধান।’ তিনি আরো বলেন, ‘এভাবে বাসে বাঁদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করা মেয়েদের জন্য আরো বেশি সমস্যা। এতে বিপদ হতে পারে যেকোনো সময়।’
বিশ্ববিদ্যায়য় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৩৮টি বাস রয়েছে। তার মধ্যে নিয়মিত বিভিন্ন রুটে চলাচল করে ২৮টি বাস। আর চারটি একেবারে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আর বাকিগুলো অনেক পুরোনো হওয়ায় প্রায় নষ্ট হয়ে বাসস্ট্যান্ডে পড়ে থাকে।
এত বাস থাকা সত্ত্বেও কেন ছাত্রীদের বাসে জায়গা হচ্ছে না জানতে চাইলে পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মোহা. মাইনুল হক বলেন, ‘আমাদের এখন ৫৭ জন ড্রাইভার প্রয়োজন, অথচ আছে ৩০ জন। হেলপার প্রয়োজন ৬০ জন, যার মধ্যে আছে ৩২ জন।’
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি পরিবহন প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘আমি এই সমস্যাটি জানতাম না। পরিবহন দপ্তর থেকে আমাকে জানানো হলে আমি সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করব।’