কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানার ওয়াকফ করা  সম্পত্তি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকরিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ রোববার (৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়।

এ সময় মানববন্ধনে আনুমানিক পাঁচ শতাধিক মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন মৌলভী লুতফুর রহমান, মুফতি দ্বীন ইসলাম, মুফতি সোয়াইব, মোহাম্মদ রূপন উদ্দিন। বক্তারা অবিলম্বে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

মানববন্ধন শেষে দখল করা জমি উদ্ধারে সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ তাদের সেই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে অত্র এলাকার রাবিয়া আক্তার খাতুন এবং তাঁর দুই ছেলে ডা. রাজিবুল ইসলাম রাজন ও ডা. সজিবুল ইসলাম দুই দলিলে ৩০৮ শতাংশের অধিক জমি দান করেন। পরে ২০১৪ সালে নির্মিত হয় মসজিদসহ খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) মাদ্রাসা ও এতিমখানা।

২০২০ সালে করোনা মহামারি চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দা হাছু মিয়া, বাচ্চু মিয়া, রাজন মিয়া, সুজন মিয়া, রিপন মিয়াসহ স্থানীয় অসাধু একটি চক্র মাদ্রাসার জমির সীমানা খুঁটি তুলে এবং তারকাঁটা কেটে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আনুমানিক ৫০ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখলে নেন। মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য ওয়াকফ করা জমি দখলে নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার জমি দখলে নিয়ে দখলকারীরা ওই জমিতে মাদক ও জুয়াসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।