মশা নিধনের কীটনাশক সরবরাহে মার্শাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি নাম জালিয়াতি করে। গত গত ২১ আগস্ট জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানির তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহকারী ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. রাহাত আল ফয়সাল। সেই মামলায় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীসহ তিনজনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের জামিন নাকচ করেন। জামিন নাকচ হওয়া অন্য দুজন হলেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলাউদ্দিন ও নির্বাহী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান মোহাম্মদ আলী, আলাউদ্দিন ও নাসির। গত ৬ অক্টোবর সেই জামিন শেষ হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। 

পরে গত ৭ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম তাদের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এরপর আদালত তাদের উপস্থিতিতে ৯ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। রিমান্ড উপলক্ষে আজ আসামিদের সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। একইসঙ্গে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, এ মামলায় আরও একজন আসামি আছেন। তিনি চীনা নাগরিক। নাম লি কিউইয়াং। তিনি এখন বাংলাদেশে নেই।