আ.লীগ-জাপার আসন ভাগাভাগি না করার সিদ্ধান্ত

জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেয় ক্ষমতাসীন দলটি। অপরদিকে, জাতীয় পার্টির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানের একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।
বৈঠক সূত্র জানা গেছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দল দুটি আসন ভাগাভাগিতে যাচ্ছে না।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আলাদাভাবে নিজ নিজ জায়গা থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করব। জাতীয় পার্টির নেতারা আশ্বস্ত হয়েছেন। তারা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন।’
নানক বলেন, ‘কীভাবে শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা তাদের প্রার্থী দিয়েছে। আমরা আমাদের প্রার্থী দিয়েছি। আমরা আমাদের নির্বাচন করব। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা চাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রয়োজনে আবারও আলোচনা হবে। তবে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় পার্টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। একইসঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করবে। জনগণের মেন্ডেট নিয়ে জাতীয় সংসদে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।’
এর আগে বুধবার সকালে ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করবে আওয়ামী লীগ। তবে, বৈঠকের সময় ও স্থান নিয়ে গণমাধ্যমকে আগে থেকে স্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।