অল্পের জন্য রক্ষা পেল ট্রেনের ১২০০ যাত্রীর প্রাণ
ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের এক হাজার ২০০ যাত্রীর প্রাণ অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। গাজীপুর মহানগরীর ছোট দেওরা এলাকায় রেললাইন বাঁকা হয়ে গেলে সেখানে লাল পতাকা দেখে দ্রুতগামী ট্রেনটি থামানোয় অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ট্রেনটি থামার মাত্র আধা ঘণ্টা আগে একটি ট্রেন এই লাইন অতিক্রম করে গেছে। পরে রেলের কর্মীরা ওখানে এসে দেখতে পায় ঢাকা-গাজীপুর ডুয়েল গেজ আপলাইনের একটি রেল লাইন প্রায় ২০ মিটার বাঁকা হয়ে ছুটে স্লিপার লক ভেঙে সরে গেছে। এ সময় রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা ওই এলাকা অতিক্রমকালে ঘটনাটি দেখতে পায়। নিরাপত্তারক্ষীরা বেঁকে যাওয়া রেল লাইনের দক্ষিণ পাশে লাল পতাকা টানিয়ে দেন। তাঁরা উভয় পাশে স্টেশনে ঘটনাটি জানান। কিন্তু ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোনো বার্তা পায়নি। দ্রুতগামী ট্রেন এক হাজার ২০০ যাত্রী নিয়ে মহানগরীর ধীরাশ্রম রেল স্টেশন অতিক্রম করে কিছুদূর এগিয়ে এলে রেল লাইনের উপর লাল পতাকা দেখতে পায়। আসন্ন বিপদ বুঝতে পেরে ট্রেনের লোকমাস্টার ব্রেক করে সেখানে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। ট্রেনটি বেঁকে যাওয়া রেললাইন থেকে মাত্র ৪০ মিটার দূরে এসে থেমে যায়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে যাত্রীদের প্রাণ।
ঢাকা টু চাঁপাইগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, ধীরাশ্রম এলাকায় এসে রেল লাইনের উপর লাল পতাকা দেখতে পাই। তাৎক্ষণিকভাবে বেলা ১৪টা ৩০ মিনিটে আমি ট্রেন থামানোর নির্দেশ দিলে ট্রেনটি এখানে থামানো হয়। পরে নেমে এসে নিরাপত্তাকর্মীদের পাওয়া যায় এবং তাদের কাছ থেকে ঘটনা জানা যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে ট্রেনের পরিচালক বলেন, কীভাবে রেললাইনের স্লিপারের লকগুলো খুলে গেল এবং রেললাইন বাঁকা হয়ে সরে গেল সেটি বুঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। টেকনিক্যাল লোকজন এলে বিষয়টি জানা যাবে।
গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী জানান, ছোট দেওরা এলাকায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ঢাকা থেকে চাঁপাইগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়ে সেখানে আটকে আছে। লাইন মেরামত করার পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করে।
হানিফ আলী আরও জানান, এ ঘটনায় ঢাকা-জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের আপ লাইনটি বন্ধ রয়েছে। অপর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক।